প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

১৯২৮ সালে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার অন্তর্গত জিরতলী ইউনিয়নে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিতি হয়। জিরতলী ইউনিয়ন (বহুমুখী) উচ্চ বিদ্যালয় নামে বিদ্যালয়টি ক্ষুদ্র পরিসরে অগ্রসর হয়। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও সর্বোপরি এলাকাবাসির সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে বিদ্যালয়টি উত্তরোত্তর উন্নয়ন সাধিত হয়। ১৯৯৮ সালে বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে জিরতলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় নামকরন করা হয়। বিদ্যালয়ের মোট সম্পদের পরিমান এক একর সাতান্ন শতাংশ। বর্তমানে বিদ্যালয়ে দুইটি তিনতলা ভবন এবং একটি দ্বিতল ভবন রয়েছে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য । বিদ্যালয়ে উন্নত বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার ও আধুনিক ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব আছে। কম্পিউটার অপারেটরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত কম্পিউটার শেখানো হয়। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সফলতায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।লেখাপড়ার পাশাপাশি এখানে সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী খেলাধুলা ও স্কাউটিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। এ সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি উন্নত অডিটরিয়াম ও খেলাধুলার মাঠ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, শিক্ষকগনের একাগ্রতা, শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগনের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে একটি আদর্শ বিদ্যালয় গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ।
সভাপতির বাণী
জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং অভ্যাস অর্জনের একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে শিক্ষা। আর প্রকৃত শিক্ষাই মানুষকে, মানুষ হওয়ার জন্য সহযোগিতা করে। সেই লক্ষ কে সামনে রেখে জিরতলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় শতবর্ষের পথ পরিক্রমায় বিদ্যালয়টি পূরনো বট বৃক্ষের মতো শিক্ষার ছায়া দিয়ে যাচ্ছে এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। বহু সুখ, দুঃখের সাক্ষী হয়ে জ্ঞান বিতরন করে যাচ্ছে শতবর্ষী বিদ্যালয়টি। ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, রাজনীতিবিদ, সহ বহু গুনীজনের শিক্ষাকেন্দ্রটি সুনামের সাথে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে। স্থানীয় এলাকাবাসী, রাজনীতিবিদ, গুনীজন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যালয়টি। আমি বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং কল্যান কামনা করি।
প্রধান শিক্ষকের বানী

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির আচরনিক ও কাঙ্খিত পরিবর্তন ঘটে। আর সে লক্ষোই ১৯২৮ সালে জিরতলী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য একটি সুন্দর ভিত্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অভিভাবক ও শিক্ষক সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করছি। আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাদান পদ্ধতিকে আধূনিকীকরনের জন্য কাজ করছি।সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, স্কাউটিং ও বিজ্ঞান মেলা সহ অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশে নিরন্তর প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি। কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মচারী,অভিভাবক, পরিচালনা কমিটি ও হিতৈষী ব্যক্তি বর্গকে অভিন্দন জানাচ্ছি।বিদ্যালয়টি সুষ্ঠভাবে পরিচালনায় সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটির সফলতা কামনা করে শেষ করছি।